আজ মঙ্গলবার ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
গৌরীপুরে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধন গৌরীপুরে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘রবীন্দ্র স্মরণ’ তারাকান্দা যুবদলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি টুকুর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল তারাকান্দায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্র্যাকের অর্থ সহায়তা গৌরীপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের স্মারকলিপি তারাকান্দায় বাট্টাভাটপাড়া এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা গৌরীপুরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থী হলেন যাঁরা তারাকান্দায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা বাড়ছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আশরাফ তুঙ্গে ওমরা হজ্জে নেয়ার প্রলোভনে,প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
||
  • প্রকাশিত সময় : জানুয়ারি, ৫, ২০২০, ১০:১৮ অপরাহ্ণ




দুর্নীতি মামলায় এসকে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ঢাকা প্রতিনিধি :

দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কি গেল কি না, সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। রোববার (৫ জানয়ারি) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডায় আছেন। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা বিচারপতি সিনহা গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে বসেই একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেছেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

গত ৯ ডিসেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল দুদক। মামলার আসামিরা হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম শামীম, ব্যাংকটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ, গুলশান শাখার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, এসকে সিনহার কথিত পিএস রণজিৎ চন্দ্র সাহা, রঞ্জিতের স্ত্রী সান্ত্রী রায় (সিমি), টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

বিচারপতি সিনহা গত দুই বছর ধরে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আসামিদের মধ্যে কেবল বাবুল চিশতী অন্য মামলায় কারাগা?রে আছেন। ঋণ জালিয়াতির এই মামলায় এখনও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি বলে আদালত তার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। রীতি অনুযায়ী তা এখন হাজতি পরোয়ানা হিসেবে গণ্য হবে।

দুদক জানায়, এসকে সিনহার বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই মাসে মামলা করে সংস্থাটি। মামলায় ভুয়া তথ্য দিয়ে ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে অন্যের নামে চার কোটি টাকার ঋণ সৃষ্টি করে পরে তা এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সেই ব্যাংক হিসাব থেকে পরবর্তী সময়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ নিয়ে একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে ওই টাকা ব্যক্তিগত হিসাব থেকে অস্বাভাবিক নগদে এবং চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য হিসাবে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। পাশাপাশি ওই টাকার উৎস ও অবস্থান গোপনের মাধ্যমে পাচার বা পাচারের চেষ্টায় সম্পৃক্ত ছিলেন। জনৈক মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় আলাদা দুটি চলতি হিসাব খোলেন। এর পরদিনই তারা দুই কোটি করে চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। ব্যাংকে হিসাব খোলা এবং ঋণ আবেদনপত্রে দু’জনই তাদের ঠিকানা বাড়ি নম্বর ৫১, সড়ক নম্বর ১২, সেক্টর ১০, উত্তরা আবাসিক এলাকা উল্লেখ করেন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই বাড়ি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যক্তিগত বাড়ি।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ঋণসংক্রান্ত আবেদন দুটি কোনরকম যাচাই-বাছাই, রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ এবং ব্যাংকের কোন নিয়ম-নীতি না মেনেই শুধু গ্রাহকের আবেদনের ওপর ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঋণপ্রস্তাব তৈরি করে হাতে হাতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যান। প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটির কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই ছাড়াই অফিস নোট তৈরি করে তাতে স্বাক্ষর দিয়ে সাবেক এমডি একেএম শামীমের কাছে নিয়ে যান।

ফারমার্স ব্যাংকের ঋণনীতি অনুযায়ী ঋণ দুটির প্রস্তাব অনুমোদন করার ক্ষমতা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের না থাকা সত্ত্বেও তিনি এসংক্রান্ত যাচাই-বাছাই বা নির্দেশনা না দিয়ে ওই ঋণপ্রস্তাব দুটির অনুমোদন দেন। ঋণ অনুমোদন হওয়ার পরের দিনই অনুমোদিত চার কোটি টাকার পৃথক দুটি পে-অর্ডার সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে ইস্যু করা হয়। পরে ওই পে-অর্ডার সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। তিনি বিভিন্ন সময়ে অস্বাভাবিক ক্যাশ, চেক/পে-অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলেন।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১